ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালাতে ৯ মাসে ইসরাইলকে ২০ হাজারের বেশি বোমা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এসব মরণাস্ত্রের মধ্যে রয়েছে দুই হাজার পাউন্ডের বোমা, হেলফায়ার মিসাইল ও ক্ষেপণাস্ত্র। দুই মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছেন বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র দুই হাজার পাউন্ডের ১৪ হাজার এমকে-৮৪ বোমা, ৫০০-পাউন্ডের সাড়ে ছয় হাজার বোমা, এয়ার-টু-গ্রাউন্ড ক্ষেপণাস্ত্র ৩ হাজার ও ১ হাজার বাঙ্কার বিধ্বংসী বোমা ইসরাইলে পাঠিয়েছে।
এসব বোমা ছাড়াও দেয়া হয়েছে হাজার হাজার হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র, যেগুলোর মাধ্যমে নির্ভুলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো যায়। গত বছরের ৭ অক্টোবর পর থেকে ইসরাইলকে দেয়া অস্ত্রের চালানের তালিকা থেকে এমন তথ্য দিয়েছেন দুই মার্কিন কর্মকর্তা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব চালানের ফলে ইসরাইল গাজায় দীর্ঘ সময় ধরে হামাসের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালাতে সক্ষম হয়েছে। সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের অস্ত্র বিশেষজ্ঞ টম কারাকো বলেছেন, এই তালিকা সুস্পষ্টভাবে মিত্র ইসরাইলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন প্রকাশ করে।
এদিকে, থেমে নেই গাজায় ইসরাইলি বর্বরতা। শনিবার (২৯ জুন) দক্ষিণ গাজার রাফায় ইসরাইলি বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। গাজা সিটির পানি সরবরাহ কেন্দ্রে হামলা চালিয়েও হত্যা করেছে বেশ কয়েকজনকে। অবরুদ্ধ উপত্যকাজুড়ে হামলায় গত একদিনে প্রায় অর্ধশত ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন, আহত হয়েছেন অন্তত আড়াইশ মানুষ। তবে লড়াই করে যাচ্ছে হামাসও।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, উত্তর গাজার শুজাইয়ায় তাদের দুই সেনা নিহত হয়েছে। শুজাইয়ায় অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। এ সপ্তাহে সেখান থেকে প্রায় ৮০ হাজার মানুষ সরে যেতে বাধ্য হয়েছে। তবে যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোন আশার বাণী শোনা যাচ্ছে না।
হামাস মুখপাত্র জানিয়েছেন ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে কোন অগ্রগতি নেই। স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং সেনা প্রত্যাহার করা হলে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবে বলেও জানায় হামাস।
এসএস/এমএফ